ব্লগ শুরু হয়েছিল নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার জন্য এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তবে তা এখন অনলাইনে প্রভাব বিস্তার করার জন্য এক শক্তিশালী সরঞ্জাম, আর প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে থাকার এক সমসাময়িক হাতিয়ার।
নগরীর ভিড় থেকে দূরে, ফেলে আসা সময়ের সকল মহাকীর্তির সাক্ষী একটি শহর যার পত্তন হয়েছিল তৎকালীন ভারতবর্ষের মহান সম্রাট অশোকার শাসনামলে। এদিক ওদিক ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন পুরাকীর্তি, টেরাকোটার দালান, বিভিন্ন মঠ এবং বৌদ্ধ মন্দির যেন মাঝে মাঝেই জানান দেয় ভুলে যাওয়া কোন সভ্যতার কথা। একটি শহর যা তাঁর নিজের ঐতিহ্যকে আজও লালন করছে বিখ্যাত মন্ডা মিঠাই ও মিষ্টি দইয়ের স্বাদে। বৃহত্তর বাংলার পুণ্ড্র বর্ধন হিসেবে খ্যাত বগুড়া অতীত ও বর্তমানের এক অপূর্ব মেলবন্ধন।
মতভেদে বগুড়া সম্রাট অশোকের রাজত্বকাল হতেই বাংলার সবচেয়ে পুরাতন শহর। সম্রাট অশোক বঙ্গ জয় করেন এবং বগুড়াকে প্রতিষ্ঠিত করেন নিজের সফল অভিযানের স্বারক হিসেবে। এরই প্রমাণস্বরূপ ২০০৮ সালের অক্টোবরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সুরা মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে একটি পাথর পাওয়া যায়। মনে করা হয় এই পাথরটি গুপ্ত যুগের। পরবর্তীকালে নতুন সভ্যতার হাত ধরে বাংলার নতুন রাজধানী নবরূপ ধারণ করে। বাংলাদেশে আবিষ্কৃত সবচেয়ে পুরাতন শহুরে নির্মানশৈলীগুলোর অবস্থান এই শহরেই। যার বদলৌতে আজ বগুড়া দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষন। এর মধ্যে অন্যতম মহাস্থানগড়; যা কিনা বগুড়া শহরের অদূরেই অবস্থিত। পুণ্ড্রবর্ধন অঞ্চলে অবস্থিত পুন্ড্র নগর নামের এক প্রাচীন শহরের ভগ্নাবশেষ আজও বগুড়া জেলা শিবগঞ্জ থানার মহাস্থান নামক গ্রামটির শোভাবর্ধন করে যাচ্ছে। ১৯৩১ সালে আবিষ্কৃত একটি চুনাপাথরের ফলকের উপর প্রাকৃত ভাষায় ব্রাহ্মী লিপির ৬ লাইন লেখাদেখে ধারণা করা যায়যে মহাস্থানগড় অন্তত খ্রিস্ট পূর্ব তৃতীয় শতকের শহর। বিভিন্ন পুরাকীর্তির ভগ্নাবশেষ এ শহরের রুক্ষ লাল মাটির সাথে মিশে যেন ক্ষণে ক্ষণে পুরনো সময়ের স্মৃতি ও উষ্ণতাকে ফিরিয়ে আনে। মহাস্থানগড় ছাড়াও এখানে রয়েছে পাহাড়পুর, গোকুল মেধ, জিয়ত কুন্ডের মত দর্শনীয় স্থান যার সবকটিই শহর থেকে খুব কাছে। জিয়ত কুন্ড নিয়ে একটি অত্যন্ত মজার গল্প প্রচলিত আছে। এলাকার মানুষ বিশ্বাস করেন যে কেউ যদি যুদ্ধে আহত হয়ে এই কুয়ার পানি পান করে তবে সে তৎক্ষণাৎ সুস্থ হয়ে যাবে।
বগুড়া শহরের ব্যাপারেবলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে এর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। যখন অন্যান্য বড় শহরগুলো মাত্রই নগরায়নের ছোঁয়ায় অত্যাধুনিক হয়ে উঠছে বগুড়া ইতোমধ্যেই ২০০৯ সালে নেওয়া একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ নগর পরিকল্পনার হাত ধরে বেশ উন্নত। পুনর্গঠিত এবং প্রশস্ত রাস্তাঘাট, উন্নত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং ভূগর্ভস্থ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে শহরের অবকাঠামোতে এসেছে বিশেষ উন্নতি। এ ছাড়াও এ শহর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা বানিজ্যের কেন্দ্রস্থল। ব্যাংকের শহর নামে পরিচিত সম্ভাবনাময় এ শহরে গড়ে উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তি, সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন কোম্পানি।
তবে বগুড়ার বিখ্যাত দই নিয়ে না লিখলে আসলে বগুড়াকে নিয়ে কোন লেখাই পরিপূর্নতা পাবে না। আঞ্চলিক বিভিন্ন মিষ্টির স্বাদের কথা পুরো দেশের মানুষের মুখে মুখে। সবকিছু মিলিয়ে শান্ত ও মনোরম এ শহর বর্তমানে থেকেই অতীতের ঐশ্বর্যকে অনুভব করার জন্য যথাযথ স্থান।
মন্তব্য লেখার পর পোস্ট ক্লিক করুন। আপনি লগড্ ইন না হয়ে থাকলে আপনাকে লগ ইন অথবা রেজিস্টার করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
ক্লান্ত দিনের শেষ আলোটাও যখন মিলিয়ে যায়, ঠিক তখনই আবছা একটা স্বপ্ন জেগে ওঠে। নদীর ধারে একটা ছোট্ট ঘরের স্বপ্ন। দূর জনপদের গুঞ্জন যেখানে নদীর
নগরীর ভিড় থেকে দূরে, ফেলে আসা সময়ের সকল মহাকীর্তির সাক্ষী একটি শহর যার পত্তন হয়েছিল তৎকালীন ভারতবর্ষের মহান সম্রাট অশোকার শাসনামলে।
শহরটার পরতে পরতে কেমন একটা ঘোর লাগা পুরোনো দিনের গন্ধ। মনে হয়, কান পাতলে এখনও শোনা যাবে রাজা প্রতাপাদিত্যের ঘোড়ার খুরের শব্দ, সর্দারের তলোয়া
আজকাল সবার একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে ভালো ভালো ক্রেডিট এবং লোন স্কিম থাকতে আমি টাকা ডিপোজিট কেন করবো? ...
মনে আছে সেই একটি হোম লোনের কথা, যেটি আপনি চাওয়ার সত্ত্বেও নেওয়ার বেলায় আবেদন করায় শঙ্কিত বোধ করছেন?..
যখন রাতে হঠাৎ কোন জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে পৌঁছাতে গিয়ে আপনার পা ক্ষয় হয়ে যায় বা আপনার অনেক....
robert
BLANK ATM CARD