ব্লগ শুরু হয়েছিল নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার জন্য এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তবে তা এখন অনলাইনে প্রভাব বিস্তার করার জন্য এক শক্তিশালী সরঞ্জাম, আর প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে থাকার এক সমসাময়িক হাতিয়ার।
শহরটার পরতে পরতে কেমন একটা ঘোর লাগা পুরোনো দিনের গন্ধ। মনে হয়, কান পাতলে এখনও শোনা যাবে রাজা প্রতাপাদিত্যের ঘোড়ার খুরের শব্দ, সর্দারের তলোয়ারের টুংটাং বা রাত বিদীর্ণ করা মেশিনগানের আর্তনাদ। কতবার যে শত্রুর আঁচড়ে বুকের রক্ত ঝরেছে এই শহরের, তা শুধু জানে ঐ নদীটা আর শহরের ধূসর বাসিন্দারা। এই শহরের বুকেই ঘুমিয়ে আছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন। পুরো শহর জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের বহু চিহ্ন, স্মৃতি এবং গৌরবগাঁথা। যুদ্ধের ৪৭ বছর পরও তাই স্বীয় গরীমায় মাথা উঁচু করে গর্বভরে দাঁড়িয়ে আছেযশোর।
পাটালি গুড়, খই, কৈ আর নানা পদের মিষ্টির জন্যে বিখ্যাত। এছাড়াও বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ মাইকেল মধুসূদন দত্তের পৈতৃক বাড়ি যশোরের অদূরেই কপোতাক্ষ নদের ধারে সাগরদাঁড়ি গ্রামে। এই কপোতাক্ষ নদই ছিল কবির জীবনের প্রথম প্রেম। একমাথা ছাইরঙা মেঘ নিয়ে ঐ দূরে ভেসে গেল একটি, দু’টি পাল-তোলা নৌকা। ঝিরিঝিরি বাতাসে দুলকি চালে দুলতে থাকা নৌকাগুলো একসময় দিগন্তে মিলিয়ে যায়, কিন্তু কোথায়, কী যেন একটা প্রশ্ন রেখে যায় কবি মনের কাছে।
পাটালি গুড়ের চেয়েও মিষ্টি এই শহরের মানুষের মন। শহরের অলিতে গলিতে ঠিকানা খুঁজে পাওয়াই হোক আর সে গত ম্যাচে সাকিব-মুশফিকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি নিয়েই হোক- একটা জম্পেশ আড্ডার জন্যে এদের জুড়ি মেলা ভার। এই একবিংশ শতাব্দীতেও শত যান্ত্রিক জঞ্জালের মাঝেও ঠিকই লালন করছে নিজেদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি। পাক বাহিনীর ফেলে যাওয়া মর্টার বা শেলের টুকরোই হোক আর বাউল গানের সহজিয়া জীবন-দর্শনই হোক- চায়ের টঙে আড্ডাটা জমবে বেশ!
শহর জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ৭১'এর চেতনায় গৌরবোজ্জ্বল অসংখ্য স্মৃতিফলক ও স্থাপত্য। বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, অদ্দম্য ৭১, চেতনায় চিরঞ্জীব - এদের মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও পুরো যশোর জেলার বুকজুড়িয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইছামতী, ভৈরব, ভদ্রা, চিত্রা নদী গুলো যেন মায়ার আঁচল পেতে বসে আছে। তবে উন্নয়ের প্রশ্নে যশোর ছাড় দেয়নি একটুও। যোগাযোগ ব্যবস্থায় তুলনাহীন এইডিজিটাল শহরের আছে নিজস্ব বিমানবন্দর। ছোট-বড় বহুব্যবসা রাঙিয়ে তুলেছে যশোর বাসীর জীবন। ছোট পরিসরের কুটির শিল্প থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সুবিশাল কারখানা- কী নেই এখানে! এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা খাতে ও যশোরের জুড়িমেলাভার। প্রাইভেট ক্লিনিক, সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র -সব আছে একদম হাতের নাগালেই। আর পুরো দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থল বন্দর বেনাপোল যশোরের অদূরেই।
কলেজের ঝাঁকড়া চুলের সেইদিন গুলি মনে আছে ? জয় গোস্বামী-সুনীল পড়তে পড়তে আর ধোঁয়াররিং ছেড়ে উদাস নয়নে দিন কেটে যেতো ? ঘোলা ঘোলা দুপুরে " না-রে, কবিতা লিখেই এইজীবনটা পাক্কা কাটিয়ে দিবো" সংকল্প গুলো মাঝে মাঝে কি এখনও মনে পড়ে ? জীবন কেটে তো গেলো, কবিতা তো আর লেখা হলো না।সেই কবিতার জীবনের স্বাদএকটু হলেও খুঁজে পেতে বাউল গানের সুরে ইছামতী, কপোতাক্ষের তীরে না হয় একটুশান্তি খুঁজে নিলেন ?
মন্তব্য লেখার পর পোস্ট ক্লিক করুন। আপনি লগড্ ইন না হয়ে থাকলে আপনাকে লগ ইন অথবা রেজিস্টার করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
ক্লান্ত দিনের শেষ আলোটাও যখন মিলিয়ে যায়, ঠিক তখনই আবছা একটা স্বপ্ন জেগে ওঠে। নদীর ধারে একটা ছোট্ট ঘরের স্বপ্ন। দূর জনপদের গুঞ্জন যেখানে নদীর
নগরীর ভিড় থেকে দূরে, ফেলে আসা সময়ের সকল মহাকীর্তির সাক্ষী একটি শহর যার পত্তন হয়েছিল তৎকালীন ভারতবর্ষের মহান সম্রাট অশোকার শাসনামলে।
শহরটার পরতে পরতে কেমন একটা ঘোর লাগা পুরোনো দিনের গন্ধ। মনে হয়, কান পাতলে এখনও শোনা যাবে রাজা প্রতাপাদিত্যের ঘোড়ার খুরের শব্দ, সর্দারের তলোয়া
আজকাল সবার একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে ভালো ভালো ক্রেডিট এবং লোন স্কিম থাকতে আমি টাকা ডিপোজিট কেন করবো? ...
মনে আছে সেই একটি হোম লোনের কথা, যেটি আপনি চাওয়ার সত্ত্বেও নেওয়ার বেলায় আবেদন করায় শঙ্কিত বোধ করছেন?..
যখন রাতে হঠাৎ কোন জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে পৌঁছাতে গিয়ে আপনার পা ক্ষয় হয়ে যায় বা আপনার অনেক....
robert